কম্পিউটারের অপারেশনাল নীতির উপর ভিত্তি করে কম্পিউটারকে তিনটি শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়েছে।যথা-
এই সব কম্পিউটার গুলির দ্বারা আমরা বিভিন্ন ধরনের গানিতিক ও জটিল সমস্যার সমাধান খুব তাড়াতাড়ি করার জন্য বহু কাজে নানান ভাবে ব্যাবহার হয়।
এই ধরনের কম্পিউটারগুলি ডিজিটাল কম্পিউটার থেকে আলাদা কারণ একটি Analog Computer একই সাথে একাধিক গাণিতিক
ক্রিয়াকলাপ সম্পাদন করতে পারে। এটি গাণিতিক ক্রিয়াকলাপের জন্য ক্রমাগত ভেরিয়েবল ব্যবহার করে এবং যান্ত্রিক বা বৈদ্যুতিক
শক্তি ব্যবহার করে।
যে সমস্ত পরীক্ষামূলক ক্ষেত্রে সঠিক বা সূক্ষ্ম ফল মিলে না সেই সমস্ত ক্ষেত্রে অ্যানালগ কম্পিউটার ব্যাবহার হয়। যেমন -
মোটরবইকে এর স্পিডও মিটার, তরল পদার্থর চাপের তারতম্য।
উদাহারন ঃAnalogue Clock, Seismometer, Voltmeter, Flight Simulators, Tide Predictors ইত্যাদি।
ব্যবসা, বাণিজ্যের ক্ষেত্রে, শিক্ষা, যোগাযোগ, official কাজে, ব্যক্তিগত কাজ ইত্যাদি প্রায় প্রত্যেক ক্ষেত্রেই এই ধরণের Digital
Computer গুলোকে ব্যবহার করা হয়।
একটি Digital Computer তার মধ্যে Input করা Data এবং Program গুলোকে বাইনারিতে (binary) পরিবর্তিত করে সেগুলোকে E
lectronic ফর্মে নিয়ে আসে।
এই কম্পিউটার গুলোতে Input এবং Output দুটোই বাইনারি (binary) Code এর রূপে হয়ে থাকে মানে এই ধরণের কম্পিউটার
কেবল Machine Language গুলোকেই বুঝতে ও প্রসেস করতে পারে।
একটি ডিজিটাল কম্পিউটার তথ্য (Information) গুলোকে নিজের মধ্যে স্টোর করে রাখতে পারে।
উদাহরণঃ Desktop Computer, Laptop, Tablet, Smartphone, Digital Watch ইত্যাদি।
এই কম্পিউটারটি Digital এবং Analogue উভয় কম্পিউটারের সংমিশ্রণ। এই ধরনের কম্পিউটারে, Digital অপারেশনগুলি Analoge সংকেতগুলিকে Digital রূপান্তর করে সঞ্চালিত হয়।
এই ধরনের কম্পিউটার গুলিতে Analoge Computer এর কাজের প্রক্রিয়া ও Digital Computer এর নির্ভুলতা থাকার কারনে Hiybrid Computer গুলি খুবাই শক্তিশালী হয়।
উদাহারন ঃ Hycom 250 (1961 Packard bell ) ইত্যাদি।
উপরের দিকের কম্পিউটার এর উপর ভিত্তি করে নীচে কয়েকটি অন্যান্য ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কম্পিউটার রয়েছে সেগুলি হল-
সুপার কম্পিউটার হল কম্পিউটার সিস্টেমের সর্বোচ্চ Configuration যার দ্বারা একটি অত্যন্ত গণনা-নিবিড় বা নিরভুল ভাবে
কাজগুলি কার্যকর বা সম্পাদন করা যায়। এই ধরনের কম্পিউটার এর ক্ষমতা অন্যান্য কম্পিউটার এর তুলনাই অনেক বেশি।
কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যা, মেকানিক্স, আবহাওয়ার পূর্বাভাস, আণবিক তত্ত্ব সুপার কম্পিউটারের মাধ্যমে সর্বোত্তমভাবে অধ্যয়ন করা হয়।
তাদের সমান্তরাল প্রক্রিয়াকরণের ক্ষমতা এবং তাদের সুপরিকল্পিত Memory শ্রেণিবিন্যাস Super Computer গুলিকে বৃহৎ লেনদেন
প্রক্রিয়াকরণের ক্ষমতা প্রদান করে।
উদাহরনঃ CRAY-1, CRAY-2, CRAY-3 ইত্যাদি।
সুপার কম্পিউটার এর তুলনাই এই কম্পিউটার একটু কম শক্তিশালী। এই কম্পিউটারগুলিতে বৃহৎ Computing সুবিধা রয়েছে এবং
একই সাথে তারা অনেকগুলি ক্রিয়াকলাপ সম্পাদন করতে পারে।
এছাড়াও তারা বাল্ক ডেটা প্রসেসিং এবং এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানিং (ERP) এর মতো অ্যাপ্লিকেশনগুলির মাধ্যমে বেশ কয়েকটি
ব্যক্তিগত কম্পিউটারের অপারেশন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
বেশিরভাগ Mainframe Computer একাধিক অপারেটিং সিস্টেম হোস্ট করার ক্ষমতা থাকে এবং বেশ কয়েকটি ভার্চুয়াল মেশিন
হিসাবে কাজ করে এবং এইভাবে বেশ কয়েকটি ছোটো সার্ভারের বিকল্প হতে পারে।
Mainframe Computer এর শক্তি এতটাই যে সুধু একজন User এই কম্পিউটার এর CPU এর সম্পূর্ণ শক্তি কে কাজে লাগাতে পারে না।
Mini computer গুলোকে আবার Mid range Computer বলেও বলা যেতে পারে।
বিভিন্ন ছোট ব্যবসা এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গুলোর দ্বারা এই ধরণের কম্পিউটার গুলো ব্যবহার করা হয়।
এছাড়া File Handling, Database Management, Scientific এবং Engineering Computations ইত্যাদি কাজের জন্যেও এই ধরণের Mini Computer ব্যবহার করা হয়।
Minicomputers গুলি Multi - Users - Systems যেখানে একাধিক Users একসাথে কাজ করতে পারেন।
এই কম্পিউটার গুলোর আকার অনেক ছোট থাকে।
মাইক্রো কম্পিউটার গুলো বর্তমান সময়ে প্রচুর জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এবং এদের ব্যবহার দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে।
অন্যান্য প্রত্যেক কম্পিউটার গুলোর তুলনায় এই ধরণের কম্পিউটার গুলো আকারে অনেক ছোট থাকে।
এছাড়া, এই কম্পিউটার গুলো ওজনে অনেক হালকা থাকে।
এই ধরণের কম্পিউটার গুলোকে সাধারণ কার্য গুলোকে করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে।
যেমন, মনোরঞ্জন, শিক্ষার ক্ষেত্রে, দপ্তরের বিভিন্ন কাজ করার ক্ষেত্রে ইত্যাদি।
Micro computer গুলোর মধ্যে PCs, Notebooks, Laptops, PDAs (Personal Digital Assistants) ইত্যাদি গুলো হচ্ছে মাইক্রো কম্পিউটার।
ব্যক্তিগত কম্পিউটার বিভিন্ন আকারে আসে যেমন ডেস্কটপ, ল্যাপটপ এবং ব্যক্তিগত ডিজিটাল সহকারী (PDAs)।
এই ধরনের কম্পিউটার কম ব্যয়বহুল এবং সবার কাছে সাশ্রয়ী।
আজকাল এই কম্পিউটারগুলি প্রায় সব জায়গায় বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের জন্য ব্যবহার করা হয়।
এই কম্পিউটারগুলির নতুন সংস্করণে আপগ্রেডেশন সহজে করা যেতে পারে।
এই কম্পিউটার গুলি খুব জনপ্রিয়। বর্তমানে সর্বত্রয় এই কম্পিউটার ব্যাবহার হয়। যেমন- স্কুল, আদালত, অফিস ইত্যাদি।
সর্বপ্রথম IBM ( International Business Machine ) এই ধরনের কম্পিউটার প্রচলন করে। এই ধরনের কম্পিউটার গুলিতে একাধিক
ইনপুট ডিভাইস থাকে যেমন - কীবোর্ড, মাউস, ও আউটপুট ডিভাইস গুলি হল যেমন- স্পিকার, মনিটর, প্রিন্টার ইত্যাদি।
একটি ডেস্কটপ কম্পিউটার একটি একক অবস্থানে ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে বানানো হয়েছে।
একটি ডেস্কটপ কম্পিউটারের খুচরা যন্ত্রাংশ তুলনামূলকভাবে কম খরচে সহজলভ্য হয়ে থাকে। বিদ্যুত খরচ খুব কম হয়।
ডেস্কটপগুলি কর্মক্ষেত্রে এবং পরিবারের দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়।
ল্যাপটপ কম্পিউটারগুলি ডেস্কটপের মতোই কাজ করে। ল্যাপটপ কম্পিউটারগুলি ছোট-অনুমোদিত স্মার্ট ফনের মতো ব্যাবহার করা যাই। ল্যাপটপগুলি একটি একক ব্যাটারি বা একটি বাহ্যিক অ্যাডাপ্টারে চলে যা ল্যাপটপ ব্যাটারিগুলিকে চার্জ করে৷ অনেকটা চারকোনা বাক্স এর মতো দেখতে।
এগুলি একটি অন্তর্নির্মিত কীবোর্ড, মাউস হিসাবে কাজ করে টাচ প্যাড এবং স্ক্রিন হিসাবে একটি লিকুইড ক্রিস্টাল ডিসপ্লে (এলসিডি) দিয়ে সক্ষম করা হয়েছে।
এর সম্ভাব্যতা এবং ব্যাটারি পাওয়ারে কাজ করার ক্ষমতা ব্যবহারকারীদের জন্য একটি ভালো সুভিদাজনক হিসেবে কাজ করেছে।
এই ধরনের ডিভাইস গুলি কীবোর্ড এর পরিবর্তে একটি আলোক সংবেদনশীল বৌদুতিক পেন ব্যাবহার করা হয়।