আপনাদের অনেকেরই মনের ধারণা আছে WiFi শুধুমাত্র Internet ব্যবহার করার জন্য ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ব্যাপারটা তেমন নয়। প্রথমদিকে শুধুমাত্র Internet ব্যবহার করার জন্য WiFi ব্যবহার করা হতো না।
আপনারা প্রত্যেকেই জানেন Internet আবিষ্কার হয় বহু বছর আগে। তখন কিন্তু সবাই Internet ব্যবহার করতে পারত না তখন ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য অনেকগুলো Cable এর প্রয়োজন হতো। কিন্তু দিন দিন উন্নত প্রযুক্তির কারণে Internet ব্যবহারের System বদলে যায়। খুব বেশি না আপনারা দশ বছর আগেকার কথা ভাবুন আপনার এলাকায় আপনার আশেপাশে কতজন মানুষ Internet ব্যবহার করত। কিন্তু বর্তমানে আপনাদের ঘরে ঘরে Internet চলে এসেছে।
আগে এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে ডাটা Transfar করার জন্য কিন্তু Cable ব্যবহার করা হতো। কিন্তু বর্তমানে প্রযুক্তির উন্নতির কারণে WiFi মাধ্যমে এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে ডাটা ট্রান্সফার করা হয় কোনরকম কেবল ছাড়া অর্থাৎ Wireless WiFi মাধ্যমে। WiFi হলো এক ধরনের Wireless Technology কোনরকম তার ছাড়াই যে কোন ডিভাইসে Data ট্রান্সফার করা যায়।
তাহলে বুঝতে পারলে WiFi কি?
ওয়াইফাই এর পূর্ণরূপ হল ওয়্যারলেস ফেডিলিটি (Wireless fidelity) । WiFi হলো এক ধরনের ওয়ারলেস নেটওয়ার্ক টেকনোলজি (Wireless Network Technology) । যার মাধ্যমে হাই স্পিড ইন্টারনেট বা হাই স্পিড নেটওয়ার্ক Radio Signal এর দ্বারা Provide করে। WiFi হলো Wireless প্রযুক্তি।
১৯৯৭(1997)সালে John O'sullivan WiFi আবিষ্কার করেন।
Device গুলোর মধ্যে তথ্যের (Information) আদান-প্রদান করার উদেশ্যে WiFi যেই প্রক্রিয়াটিকে ব্যবহার করে সেটা হলো “নেটওয়ার্ক এর রেডিও তরঙ্গ“.
মনে রাখবেন, WiFi ব্যবহার করার আগে, আপনার Computer, Smartphone বা অন্যান্য Device গুলোতে একটি Wireless Adapter লাগানো থাকতেই হবে।
আপনি নিজের কম্পিউটারে একটি Wireless Adapter আলাদা করেও লাগাতে পারবেন।
আর এই Wireless Adapter এর মূল কাজ হল Network এর মাধ্যমে গ্রহণ করা Data বা information গুলোকে “Radio Signal” এর রূপে প্রেরণ (Transmit) করা।
তাই বলা যেতে পারে যে, WiFi যেকোনো অন্য ওয়্যারলেস ডিভাইস (Wireless Device) এর মতোই কাজ করে।
এখানে, সংযুক্ত থাকা Computer Device গুলোর মধ্যে Signal পাঠানোর জন্য Radio Frequencies এর ব্যবহার করা হয়।
Signal গুলোকে এন্টিনার মাধ্যমে ডিকোডার এর মধ্যে পাঠানো হয়।
Signal Decoder কে আমরা Router এর নামেও বলি।
একবার সিগন্যাল গুলো রাউটার এর মাধ্যমে ডিকোড হয়ে যাওয়ার পর সেগুলোকে Ethernet Connection এর দ্বারা Internet এর কাছে পাঠানো হয়।
ঠিক এভাবেই, ইন্টারনেট থেকে ডাটা গ্রহণ করা ডাটা প্রথমেই রাউটার এর মধ্যেই আসবে।
এবং, রাউটারের মধ্যে ইন্টারনেট থেকে আসা প্রত্যেকটি ডাটা ডিকোড হয়ে রেডিও সিগন্যালে রূপান্তর করা হবে।WiFi রাউটার এর সাথে সংযুক্ত Computer Device গুলোতে থাকা Wireless Adapter, সেই রেডিও সিগন্যাল গুলোকে গ্রহণ করবে।
WiFi এর সুবিধা - অসুবিধাঃ-(Advantage And Disadvantage of WiFi)
সুবিধা(Advantage):-
১. এক বা একাধিক ডিভাইসে WiFi সংযোগ করে ইন্টারট ব্যবহার করা হয়। মোবাইল Laptop কম্পিউটার ট্যাবলেট একাধিক ডিভাইস আপনি WiFi সংযোগ করতে পারবেন।
২. WiFi স্পিড মোবাইল Data থেকে তুলনামূলকভাবে বেশি হয়। তবে আপনি WiFi প্যাক এর জন্য যত বেশি টাকা রিচার্জ করবেন তত বেশি স্পিড পাবেন।
৩. বর্তমানে Smart TV তে WiFi সংযোগ করে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন।
৪. বর্তমানে WiFi প্রযুক্তির মাধ্যমে কোন ডাটা ক্যাবল ব্যবহার না করে এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে আপনারা যে কোন Data Transfer করতে পারবেন। যেমন Shareit, Xender ইত্যাদি App এর মাধ্যমে।
অসুবিধা(Disadvantage):-
Wi-Fi এর সুবিধা চেয়ে WiFi এর অসুবিধা খুবই কম। WIFi এর অসুবিধা গুলো কি কি:-
১. নির্দিষ্ট WiFi Zone এর বাইরে চলে গেলে আপনারা ওয়াইফাই সংযোগ করে Internet ব্যবহার করতে পারবেন না। WiFi মূলত ৩০-১০০ মিটারের মধ্যে এক্সেস (Access) করে । এর বেশি দূর থেকে WiFi সংযোগ করে Internet ব্যবহার করতে পারবেন না ।
২. WiFi খুব একটা secure (নিরাপদ) না ।
শেষ কথা