বিংশ শতকে ভারতে সাংস্কৃতিক সংগঠন ও চিত্রকলা উন্নয়ন
![](https://static2.tripoto.com/media/filter/tst/img/2123960/TripDocument/1619327832_warli_art_1.jpg)
বিংশ শতকে ভারতে সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং চিত্রকলার উন্নয়ন একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই সময়কালে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও চিত্রকলার ক্ষেত্রগুলিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এবং উন্নয়ন ঘটে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু দিক হলো:
সাংস্কৃতিক সংগঠন
- ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের প্রভাব: ব্রিটিশ শাসনকালে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন গড়ে ওঠে, যা ভারতীয় সংস্কৃতির বিকাশে ভূমিকা রাখে। যেমন, ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেসের উদ্যোগে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড শুরু হয়।
- বাঙালি রেনেসাঁ: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রমুখদের নেতৃত্বে বাংলা সাহিত্যে ও শিল্পে নবজাগরণ ঘটে।
- সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান: বিংশ শতকে প্রতিষ্ঠিত হয় বহু সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান যেমন শান্তিনিকেতন (বিশ্বভারতী), যা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠা করেন এবং ভারতীয় শিল্প, সংস্কৃতি, শিক্ষা ও গবেষণায় এক নতুন দিক উন্মোচন করে।
- সাংস্কৃতিক আন্দোলন: ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়কালেও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আন্দোলন দেখা যায়, যা শিল্প ও সংস্কৃতির মাধ্যমে স্বাধীনতার বার্তা ছড়িয়ে দেয়।
চিত্রকলা
- বেঙ্গল স্কুল অফ আর্ট: এই স্কুলটি অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নেতৃত্বে গড়ে ওঠে এবং এটি ভারতীয় চিত্রকলার পুনর্জাগরণে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এই শিল্পধারায় ভারতীয় ঐতিহ্য এবং লোককলা প্রভাবিত হয়।
- প্রগতিশীল শিল্পী আন্দোলন: ১৯৪৭ সালের পর, বিভিন্ন প্রগতিশীল শিল্পী গোষ্ঠী গড়ে ওঠে যারা চিত্রকলায় নতুন ধারার সূচনা করেন। এদের মধ্যে ফ্রান্সিস নিউটন সুজা, মকবুল ফিদা হুসেন প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।
- আধুনিক ও সমকালীন শিল্প: বিংশ শতকের শেষার্ধে ভারতীয় চিত্রকলায় আধুনিক ও সমকালীন শিল্পের প্রভাব বৃদ্ধি পায়। শিল্পীরা পশ্চিমা শৈলী এবং ধারণা গ্রহণ করেন এবং নিজেদের শিল্পকর্মে নতুনত্ব আনেন।
- সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও প্রদর্শনী: বিংশ শতকে ভারতে বিভিন্ন চিত্রকলা প্রদর্শনী এবং গ্যালারি গড়ে ওঠে। ইন্ডিয়া হাবিটেট সেন্টার, ন্যাশনাল গ্যালারি অফ মডার্ন আর্ট ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান শিল্পীদের কাজ প্রদর্শন এবং প্রচারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এই সকল দিক ভারতীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন ও চিত্রকলার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-ধন্যবাদ