ভূ-গর্ভস্থ জলের উপর আন্তর্জাতিক সহযোগিতা
ভূ-গর্ভস্থ জলের সংরক্ষণ, ব্যবস্থাপনা এবং উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও উদ্যোগ রয়েছে। নিম্নে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সহযোগিতা উল্লেখ করা হলো:
ইউনেস্কো (UNESCO):
ইউনেস্কো আন্তর্জাতিক ভূগর্ভস্থ জলসম্পদ উন্নয়ন এবং ব্যবস্থাপনার জন্য বিভিন্ন প্রকল্প এবং গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে। ইউনেস্কো’র International Hydrological Programme (IHP) ভূগর্ভস্থ জলসম্পদের উন্নয়নে একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (WHO):
WHO ভূগর্ভস্থ জলের মান এবং জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত গবেষণা এবং নির্দেশিকা প্রদান করে। এটি জলসম্পদ ব্যবস্থাপনার জন্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানদণ্ড প্রতিষ্ঠা করে।
ইউনাইটেড নেশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (UNDP):
UNDP বিভিন্ন দেশকে ভূগর্ভস্থ জলসম্পদের উন্নয়ন এবং সংরক্ষণে সহায়তা প্রদান করে। তারা বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে পানি ব্যবস্থাপনা, সংরক্ষণ এবং পুনর্ভরণের জন্য প্রযুক্তি এবং অর্থায়ন প্রদান করে।
ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক:
ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক বিভিন্ন দেশে পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং ভূগর্ভস্থ জলের উন্নয়নের জন্য অর্থায়ন এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করে। তারা বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে পানি ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
গ্লোবাল ওয়াটার পার্টনারশিপ (GWP):
GWP একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা যা পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং সংরক্ষণে বিভিন্ন দেশকে সহযোগিতা করে। তারা পানি সম্পদের টেকসই ব্যবহারের জন্য নীতি এবং পদ্ধতির উন্নয়ন করে।
ইন্টারন্যাশনাল এসোসিয়েশন অফ হাইড্রোজিওলজিস্টস (IAH):
IAH একটি পেশাদার সংগঠন যা ভূগর্ভস্থ জলসম্পদ এবং হাইড্রোজিওলজি সম্পর্কিত গবেষণা এবং শিক্ষার জন্য কাজ করে। তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গবেষণা, প্রকাশনা এবং সম্মেলনের মাধ্যমে তথ্য বিনিময় করে।
ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন (FAO):
FAO কৃষি ক্ষেত্রে ভূগর্ভস্থ জলসম্পদের ব্যবস্থাপনা এবং উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প এবং গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে।
আন্তর্জাতিক নদী বেসিন সংস্থাগুলি:
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নদী বেসিন সংস্থা, যেমন দ্য নীল বেসিন ইনিশিয়েটিভ (NBI), মেকং রিভার কমিশন (MRC), এবং ইন্ডাস ওয়াটার ট্রিটি, ভূগর্ভস্থ এবং ভূ-পৃষ্ঠের জলসম্পদ ব্যবস্থাপনার জন্য সহযোগিতা করে।
এই আন্তর্জাতিক সহযোগিতাগুলি ভূগর্ভস্থ জলসম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনা এবং সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এগুলির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ তথ্য, প্রযুক্তি, এবং সম্পদ বিনিময় করতে পারে, যা তাদের নিজস্ব জলসম্পদ ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
-ধন্যবাদ