প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার বৈশিষ্ট্য
প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতা, যা প্রায় ৩১৫০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ থেকে ৩০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত টিকে ছিল, অনেকগুলি বৈশিষ্ট্য দ্বারা চিহ্নিত হয়। এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি নিম্নরূপ:
পিরামিড ও স্থাপত্য: মিশরীয় সভ্যতার সবচেয়ে বিখ্যাত নিদর্শন হল পিরামিড। গিজার গ্রেট পিরামিড, স্ফিঙ্কস এবং লুক্সরের কার্নাক মন্দির এ সভ্যতার স্থাপত্যিক উৎকর্ষের উদাহরণ।
ধর্ম ও মূর্তিপূজা: প্রাচীন মিশরীয়রা বহু দেবদেবীর পূজা করত। রা (সূর্য দেবতা), ওসিরিস (মৃত্যুর দেবতা), এবং আইসিস (প্রজনন ও যাদুর দেবী) তাঁদের প্রধান দেবতাদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।
লিপি ও সাহিত্যের উন্নয়ন: হায়ারোগ্লিফিক লিপি মিশরীয়দের ভাষার লিখিত রূপ। তারা প্যাপিরাসের উপর লেখার জন্য এই লিপি ব্যবহার করত।
নদী ও কৃষি: নীল নদ মিশরীয় সভ্যতার জীবনীশক্তি ছিল। এর নিয়মিত বন্যা উর্বর পলিমাটি এনে দিত যা কৃষির জন্য অত্যন্ত উপযোগী ছিল।
ফ্যারাও ও শাসনব্যবস্থা: ফ্যারাওরা মিশরের শাসক ছিলেন এবং দেবতা হিসেবে পূজিত হতেন। তাঁদের শাসনব্যবস্থা কেন্দ্রীয় এবং শক্তিশালী ছিল।
মৃত্যুর পরের জীবন বিশ্বাস: প্রাচীন মিশরীয়রা মৃত্যুর পরের জীবনে বিশ্বাস করত এবং মৃতদের মমি বানিয়ে সমাধিস্থ করার প্রথা প্রচলিত ছিল।
কলা ও সংগীত: মিশরীয়রা শিল্প ও সংগীতে পারদর্শী ছিল। তাঁদের চিত্রকলা, মূর্তিকলা এবং বাদ্যযন্ত্রগুলো উচ্চমানের ছিল।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: প্রাচীন মিশরীয়রা গণিত, জ্যামিতি, চিকিৎসা ও জ্যোতির্বিজ্ঞানে অনেক অগ্রগতি সাধন করেছিল।
এই বৈশিষ্ট্যগুলি প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতাকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ সভ্যতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
-ধন্যবাদ