logo CBCE Skill INDIA

Welcome to CBCE Skill INDIA. An ISO 9001:2015 Certified Autonomous Body | Best Quality Computer and Skills Training Provider Organization. Established Under Indian Trust Act 1882, Govt. of India. Identity No. - IV-190200628, and registered under NITI Aayog Govt. of India. Identity No. - WB/2023/0344555. Also registered under Ministry of Micro, Small & Medium Enterprises - MSME (Govt. of India). Registration Number - UDYAM-WB-06-0031863

সংসদীয় এবং রাষ্ট্রপতিমূলক শাসন ব্যবস্থার মধ্যে পার্থক্য কী?


সংসদীয় এবং রাষ্ট্রপতিমূলক শাসন ব্যবস্থার মধ্যে পার্থক্য

সংসদীয় (Parliamentary) এবং রাষ্ট্রপতিমূলক (Presidential) শাসন ব্যবস্থার মধ্যে প্রধান পার্থক্যগুলি হল:

সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা:

  1. প্রধান নির্বাহী:

    • প্রধানমন্ত্রী প্রধান নির্বাহী হন, যিনি সংসদের সদস্য এবং সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হন।
    • রাষ্ট্রপ্রধান সাধারণত একটি আনুষ্ঠানিক ভূমিকা পালন করেন এবং কার্যনির্বাহী ক্ষমতা সীমিত হয়।
  2. ক্ষমতার বিভাজন:

    • নির্বাহী এবং আইনসভা সংযুক্ত থাকে। প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রীরা সংসদের সদস্য হন।
    • ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ হয় এবং মন্ত্রীরা সংসদের প্রতি জবাবদিহি থাকেন।
  3. সরকারের স্থায়িত্ব:

    • প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রীরা সংসদের সমর্থনের উপর নির্ভর করেন। সংসদের আস্থা না থাকলে তারা পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
    • সরকার দ্রুত পরিবর্তিত হতে পারে, কিন্তু এটি দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানোর ক্ষমতা দেয়।
  4. নির্বাচন প্রক্রিয়া:

    • প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন হয় সংসদের সদস্যদের দ্বারা। জনগণ সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন করে না।
    • সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ সদস্যদের নির্বাচন করা হয়।
  5. উদাহরণ:

    • যুক্তরাজ্য, কানাডা, ভারত, জার্মানি

রাষ্ট্রপতিমূলক শাসন ব্যবস্থা:

  1. প্রধান নির্বাহী:

    • রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাহী হন এবং সাধারণত সরকারের প্রধানও হন।
    • রাষ্ট্রপতি সরাসরি জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হন এবং গুরুত্বপূর্ণ কার্যনির্বাহী ক্ষমতা ভোগ করেন।
  2. ক্ষমতার বিভাজন:

    • নির্বাহী, আইনসভা, এবং বিচার বিভাগ পৃথক থাকে। রাষ্ট্রপতি সংসদের সদস্য হন না এবং সরাসরি সংসদে জবাবদিহি করতে বাধ্য হন না।
    • ক্ষমতার বিভাজন স্পষ্ট থাকে।
  3. সরকারের স্থায়িত্ব:

    • রাষ্ট্রপতি একটি নির্ধারিত মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হন এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন না, যদি না ইমপিচমেন্টের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়।
    • সরকারের স্থায়িত্ব বেশি থাকে।
  4. নির্বাচন প্রক্রিয়া:

    • রাষ্ট্রপতি সরাসরি জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হন। এটি সাধারণত একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য হয় (যেমন চার বা পাঁচ বছর)।
    • আইনসভার নির্বাচন পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত হয়।
  5. উদাহরণ:

    • যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো

তুলনামূলক সুবিধা ও অসুবিধা:

  • সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা:

    • সুবিধা: সিদ্ধান্ত গ্রহণ দ্রুত, আইন প্রণয়ন সহজ, সরকার দ্রুত প্রতিক্রিয়া দিতে পারে।
    • অসুবিধা: স্থায়িত্ব কম, ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ হতে পারে, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ সহজ।
  • রাষ্ট্রপতিমূলক শাসন ব্যবস্থা:

    • সুবিধা: স্থায়িত্ব বেশি, ক্ষমতার বিভাজন স্পষ্ট, রাষ্ট্রপতির নেতৃত্ব সরাসরি।
    • অসুবিধা: সিদ্ধান্ত গ্রহণ ধীর, সরকারের বিভিন্ন শাখার মধ্যে সংঘাত হতে পারে, ক্ষমতার অতি কেন্দ্রীকরণ সম্ভব।

এই পার্থক্যগুলি দুই শাসন ব্যবস্থার মূল কাঠামো ও কার্যপ্রণালীর উপর ভিত্তি করে গঠিত হয়।

 

-ধন্যবাদ

Popular Post:

Give us your feedback!

Your email address will not be published. Required fields are marked *
0 Comments Write Comment