বন সম্পদ ব্যবস্থাপনায় আর্থ-সামাজিক প্রভাব খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রশ্নীয় বিষয়। বন সম্পদ ব্যবস্থাপনা যখন সঠিকভাবে কার্যকর হয়, তখন এর পরিচর্যা এবং সংরক্ষণের মাধ্যমে বন সম্পদের সমৃদ্ধিকর ব্যবহার এবং সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব হয়। এ প্রভাবগুলি অন্তত তিনটি দিক থেকে পরিচিত হতে পারে:
১. অর্থনৈতিক প্রভাব:
বন সম্পদ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে স্থানীয় অর্থনীতির উন্নতি হতে পারে। ভালো ব্যবস্থাপনা ও উন্নত উৎপাদনশীলতা বন সম্পদের সংরক্ষণ এবং ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নতি সাধন করতে সক্ষম হয়। এর মাধ্যমে স্থানীয় কৃষকরা বন্য উৎপাদনে লাভবান হতে পারে এবং পর্যটন উন্নয়নের মাধ্যমে স্থানীয় অর্থনীতি সক্ষম হয়ে উঠতে পারে।
২. পরিবেশমুল্য এবং সামাজিক সুযোগ:
ভালো বন সম্পদ ব্যবস্থাপনা বাস্তব পরিবেশমুল্য বিতরণ করতে সক্ষম হয়। এটি বাস্তব উপকরণ সরবরাহের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের জীবনস্তর এবং স্বাস্থ্যের সুযোগ উন্নতি করতে পারে। বন সম্পদ সম্পর্কিত বৈশিষ্ট্য যেমন জলের সংরক্ষণ, ভূমিধর পরিচর্যা, বন্য প্রাণী এবং উদ্ভিদ সংরক্ষণ এবং সুরক্ষা অনেক ভাবে মানুষের জীবনে গুণোত্তর করতে পারে।
৩. সম্প্রদায়িক ও সামাজিক প্রভাব:
ভালো বন সম্পদ ব্যবস্থাপনা স্থানীয় সম্প্রদায়িক সংঘটন ও সংরক্ষণ অনুষদের গঠন ও বৃদ্ধির জন্য একটি ভূমিকা পালন করতে পারে। এর মাধ্যমে স্থানীয় লোকজন একত্রিত হয়ে বন সম্পদ সংরক্ষণে অংশগ্রহণ করতে পারে, যা তাদের সামাজিক সাংঘটন এবং সামাজিক সংবাদে মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
তবে, এই সব প্রভাবই ভালো ব্যবস্থাপনার অধীনে হয়ে থাকে। যদি বন সম্পদ ঠিকমতো পরিচালিত না হয় বা ধ্বংসের মুখোমুখি হয়, তবে এসব প্রভাবগুলির প্রতিরোধও সৃষ্টি হয়ে যাতে ভাবতে হয়।
-ধন্যবাদ