বর্তমান দুনিয়ায় প্রযুক্তিতে এসেছে তুমুল পরিবর্তন। উদাহরণস্বরূপ, আমরা একটু লক্ষ্য করলে দেখতে পারবো ২০০০ সালের পর থেকে পৃথিবী আস্তে আস্তে পরিবর্তিত হয়ে গড়ে উঠেছে Digitalized. ২০০০ সালের কয়েক বছর আগে প্রযুক্তিতে এত বেশি complicated ছিল না, তখনকার সময় প্রযুক্তি বলতে বোঝানো হতো একটি তারবালা টেলিফোন অথবা এন্টেনাযুক্ত একটি টেলিভিশনকে৷ কিন্তু বর্তমানে এমন অনেক অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হয়েছি যা অবাক হওয়ার মতন৷ তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য গুরুত্বপূর্ণ অভাবনীয় একটি প্রযুক্তির অংশ হচ্ছে data centre l
Data centre বলতে মূলত বোঝানো হয় তথ্য সংরক্ষণের একটি খাজনাকে৷ internet এর এক একটি নির্দিষ্ট স্টেশন হলো ডাটা সেন্টার৷ অর্থাৎ, যে সকল স্টেশন থেকে আমাদের ডাটা সার্ভ করা হয়ে থাকে৷ এখানে এক একটি ডাটা কে নানান রকমের রূপ প্রদান করা হয়ে থাকে যেমন, ডাটা কে প্রসেস করা হয়, ডাটা কে কন্ট্রোল করা হয়, একটা নেটওয়ার্কের মাধ্যমেই বিভিন্ন জায়গায় পরিবহন করানো হয়, একটি data centre এর প্রতিটি computer আবার connect থাকে একটি প্রধান computer এর সঙ্গে৷
ডাটা সেন্টার সম্পর্কে হয়তো আপনারা অনেকেই শুনেছেন কিন্তু এটা কিভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে কোন ধারণা নেই। তো আজকের এই আর্টিকেলে রয়েছে ডাটা সেন্টার সম্পর্কে সমস্ত খুঁটিনাটি তাহলে দেরি না করে চলুন জেনে নেই আজকের মূল কন্টেন্ট data centre সম্পর্কে।
Data centre সম্পর্কে জানার আগে প্রথমেই আমাদের জানা দরকার data centre কি বা what is data centre?
Data centre এর অর্থ- সাধারণত বাংলায় ডাটা শব্দের অর্থ হচ্ছে-উপাত্ত অথবা তথ্য বা নথি৷ একটু বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে যে ডাটা হচ্ছে নির্দিষ্ট কোন ইনপুটের ভ্যালু বা দলীয় মান৷ তাছাড়াও টেকনোলজির দিক থেকে বিচার করলে ডাটা বলতে বোঝানো হয় কোন ফাইলকে যেমন অডিও-ভিডিও, text ইত্যাদি বা কোন ডকুমেন্টকে৷
Data centre কাকে বলে (what is data centre)?
এক কথায় ডাটা সংরক্ষণাগারকেই ডাটা সেন্টার বলে৷ (এখানে সংরক্ষণাগার বলতে বোঝানো হয়েছে যেখানে আমরা কোন কিছু সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে রাখে থাকি সেই জায়গাটিকেই সংরক্ষণাগার বলে )
অর্থাৎ, অনলাইনে সমস্ত সংরক্ষণকারী কম্পিউটারকে সার্ভার বলে৷ আর এই সকল সার্ভার একসাথে যে জায়গা সম্মিলিতভাবে রাখা হয় তাকে মূলত ডাটা সেন্টার বলে৷
আর একটু স্পষ্ট করে বললে, আমরা ইন্টারনেটে যে সার্ভিসে ব্যবহার করে থাকি না কেন তা কিন্তু পরিচালিত হয়ে থাকে একটি কেন্দ্রীয় অবস্থান থেকে আর এই কেন্দ্রীয় অবস্থানটিকে বলা হয় ডাটা সেন্টার৷
একটি উদাহরণস্বরূপ,
ধরুন, অনলাইনে আপনি কোন video দেখবেন তা video টি দেখবার জন্য যখন আপনি play button এ click করবেন তখন সেই কমান্ডটি আপনার local ISP থেকে international ISP এর মধ্যে দিয়ে Google এর data centre এ চলে আসে, মিলি সেকেন্ডের মধ্যেই তারপরেই সেখান থেকে সেই request process হয়ে video টি digital data একইভাবে চলে আসে আমাদের device এ৷ তারপরেই আমরা সেই video টি দেখতে সক্ষম হই৷ অর্থাৎ, আমরা internet এ অথবা web এ যাই দেখি না কেন সব কিছুই কোন না কোন data centre এ অনুরূপভাবে জমা হয়ে থাকে৷ এবং আমরা যখনি যেকোনো video, photo বাজে কোন কন্টেন্টই দেখার জন্য play button এ click করি তখনই আমাদের অনুরোধ অনুযায়ী সেই তথ্য টা ভিজুয়ালি চলে আসে আমাদের সামনে৷
এটাই হচ্ছে বর্তমান প্রযুক্তি সার্থকতা৷ মিলি সেকেন্ডের মাধ্যমেই data centre ও device এরমধ্যে এই ডাটার আদান-প্রদান ঘটে৷ যা কিনা একটি network এর মধ্যেই সম্ভব হয়েছে তা আর অন্য কিছুই নয় সেটি হচ্ছে ইন্টারনেট যা আজ পুরো বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের রাজ করছে৷
আজ ইন্টারনেটকে নিয়ে নয় কথা বলব ডাটা সেন্টার সম্পর্কে৷ আর এই ডাটা সেন্টারে কিন্তু হচ্ছে ইন্টারনেটের ইঞ্জিন৷ এক কথায় যদি বলি তাহলে ইন্টারনেটের প্রাণ ও মূল চালক হচ্ছে এই ডাটা সেন্টার৷ সহজ ভাষায় ডাটা সেন্টার নেই তো ইন্টারনেট নেই৷
চলুন একটি উদাহরণ দিয়ে স্পষ্ট ধারণা দেই ডাটা সেন্টার সম্পর্কে !
যেমন ধরুন, আপনি যেকোনো সার্ভিস থেকে যেমন YouTube এ গিয়ে কোন video তে click করেন সেই videoকিন্তু মিলি সেকেন্ডের মধ্যেই play হওয়া শুরু হয়৷ কিন্তু এবার প্রশ্ন হচ্ছে video টি তো আর আপনার কম্পিউটার স্টোরেজ এ নেই তাহলে এটি কিভাবে সম্ভব যে মিলি সেকেন্ডের মধ্যেই আপনি ভিডিওটি দেখতে সক্ষম হন?
চলুন জেনে নিই এটি কিভাবে সম্ভব হচ্ছে বা ডাটা সেন্টার কিভাবে কাজ করে ?
যখনই আমরা আমাদের কম্পিউটার, কম্পিউটার ডাটা কিংবা ইন্টারনেট থেকে ফাইল ডাউনলোড করি তখন সেই সব জিনিস গুলি ইলেকট্রনিক 0 এবং 1 আকারে সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে৷ 0 এবং 1 এই স্ট্রিংগুলি বাইনারি কোড ছাড়া অন্য আর কিছুই নয় যাকে মূলত আমরা বলে থাকি data.
আমরা প্রায় সবাই জানি প্রায় সমস্ত কিছুই বৈদ্যুতিক আবেগের উপর কাজ করে তাই কম্পিউটার গুলিও 0s এবং 1s বাইনারি নীতিতে কাজ করে থাকে৷
যেমন, আপনি যখন কোন photo তে ক্লিক করেন তখন সেটি কিন্তু আপনার CPU মেমোরির মধ্যে সংরক্ষিত হয়ে থাকে একটি বাইনারি কোড হিসেবে৷ একই বাইনারি কোড আপনার computer screen এ ব্যবহার করা হয় সেই ফটোটি দেখানোর জন্য৷
অসংখ্য ডাটা সেন্টার মিলে একটি নতুন রকমের সার্ভার ক্রিয়েট করেছে যা কিনা এই বাইনারি কোডটি একই সঙ্গে সংরক্ষণ এর কাজ করতে পারে৷ আর মূলত এই সার্ভারগুলোকে বলা হয় কোয়ান্টাম কম্পিউটার৷
একটি বাইনারি কোড একটি একক জায়গায় জমা রাখা যায়৷ এটিতে অনেক বেশি ডাটা থাকে তাই এই ধরনের বড় ডাটা সংরক্ষণের জন্য RAID স্টোরেজের মতো আরও উন্নত স্টোরেজ কৌশল দরকার পরে আমাদের। সহজ ভাষায়, এটি এমন এক ধরনের ব্যবস্থা যেখানে একাধিক ডিস্ক ড্রাইভ বৃহত্তর কর্মক্ষমতা, নির্ভরযোগ্যতা অর্জনের জন্য কাজ করে থাকে৷
Data Center এর ব্যবহার :-
প্রথমেই বলে রাখি data centre ব্যবহৃত হয় ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক উভয় ক্ষেত্রেই৷ data centre এর ব্যবহার বর্তমান বিশ্বে মারাত্মক। বিশেষ করে যে কোন কোম্পানি যখন ইন্টারনেটে তাদের ইনিশিয়েটিভ start করতে চায় তখন সবার আগে প্রয়োজন পড়ে ইন্টারনেটের কিছু স্টোরেজের৷ যা মূলত আমরা ক্লাইন্ট স্টোরেজ বলে থাকি৷
এখন ওই কোম্পানি যদি ছোট হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে তারা বড় কোন ডাটা সেন্টার কোম্পানির কাছ থেকে কিছু নির্দিষ্ট পরিমাণ স্টোরেজ ভাড়া নিয়ে নেয় কয়েক বছরের জন্য৷ এই ভাবেই তারা তাদের কাজ শুরু করে দেয়৷ আর একটু সহজ ভাষায় বললে, data centre এ সাধারণত অনেক বেশি তথ্য সংরক্ষণ করা যায়৷ বাণিজ্যিকভাবে উৎপত্তি করা হয়েছে এই ডাটা সেন্টারের৷ অর্থাৎ, একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান অথবা এটি কোম্পানি ডাটা সেন্টার তৈরি করে সেখানে যে স্টোর রয়েছে সেই স্টোরের বিভিন্ন অংশ ছোট ছোট নানান কোম্পানির কাছে বিক্রি করে থাকে তাদের ওয়েবসাইট বানানোর জন্য৷
অতি সাধারণ লেভেলের মানুষও এই ডাটা সেন্টার ব্যবহার করে থাকে৷ আপনি যদি গুগল ড্রাইভ ব্যবহার করে থাকেন তাহলে মনে রাখবেন আপনি গুগলের ডাটা সেন্টার ব্যবহার করছেন। এবং আপনি সেখানে ১৫ গিগাবাইট পর্যন্ত ডাটা ফ্রিতে জমা রাখতে পারছেন৷
Data Centre এর কাজ কি ?