প্রাচীন সমাজের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা
প্রাচীন সমাজের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই প্রতিষ্ঠানগুলি সমাজের সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাগত উন্নতির সাধনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত।
১. আশ্রম ব্যবস্থা: প্রাচীন ভারতীয় সমাজে শিক্ষার ক্ষেত্রে আশ্রম ব্যবস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যেহেতু ব্রাহ্মণ সমাজ চার আশ্রমে বিভক্ত হত, তারা বিভিন্ন আশ্রমে বিভিন্ন ধর্মীয় ও শিক্ষাগত প্রশিক্ষণ পেত। উদাহরণস্বরূপ, গৃহস্থ আশ্রমে কৌশল ও ব্যবসায়ের শিক্ষা প্রদান করা হত। ব্রাহ্মচর্য আশ্রমে যুবকদের বিদ্যার শিক্ষা প্রদান করা হত। গার্হস্থ্য আশ্রমে কৌশল, সামাজিক আদর্শ, আর্থিক পরিচালনা ইত্যাদি শেখানো হত। ত্যাগী আশ্রমে মুক্তি ও ব্রহ্মজ্ঞানের শিক্ষা দেওয়া হত।
২. গুরুশিষ্য প্রণালী: প্রাচীন সমাজে গুরুশিষ্য প্রণালী অত্যন্ত প্রভাবশালী ছিল। শিষ্যরা গুরুর নিকট থেকে বিভিন্ন বিদ্যা ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রাপ্ত করত। গুরুর প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মানের প্রতি অভিশাপ ছিল।
৩. উপনিষদী সময়ের গুরুকুল ও আশ্রম প্রণালী: উপনিষদী সময়ে গুরুকুল এবং আশ্রম প্রণালী অনেকটাই প্রভাবশালী ছিল। গুরুকুলে শিক্ষার্থীরা অন্ধ শ্রদ্ধা ছাড়াই বিভিন্ন বিদ্যা ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রাপ্ত করতেন।
৪. বৌদ্ধ মঠ প্রণালী: বৌদ্ধ ধর্মের উদয়ে বৌদ্ধ মঠ প্রণালী গড়ে ওঠে। এই মঠে বিদ্যালয়, ধ্যানালয়, ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল। এই মঠে বিভিন্ন বিদ্যা ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রদান করা হত।
এইভাবে, প্রাচীন সমাজের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল যার মাধ্যমে সমাজের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিদ্যা এবং সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ অর্জন করত।
ধন্যবাদ....