অবন্য অঞ্চলের সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা
অবন্য অঞ্চলের সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা অনেকগুলো দিক থেকে উঠে। এই অঞ্চলগুলো আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ এবং জীববৈচিত্র্যের একটি অমূল্য সম্পদ প্রতিনিধিত্ব করে। এখানে কিছু প্রধান প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করা হলো:
![নির্বিচারে অরণ্য ধ্বংস ও কৃত্রিম বনসৃজন- কিছু ভাবনা - Pariprashna](https://encrypted-tbn0.gstatic.com/images?q=tbn:ANd9GcQJh0EXV9eCROecwOwyCnmafgOE5L0xGuI1Ug&usqp=CAU)
১) বন্য জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণ:
- অবন্য অঞ্চলে বৈচিত্র্যময় জীবপ্রদৃষ্টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই জীবগুলোর সংরক্ষণ না হলে এই প্রকৃতির প্রাকৃতিক সম্পদের অপচয় হতে পারে এবং সাপেক্ষে মানব জীবনের জন্য মেধাবী অনেক গুরুত্বপূর্ণ সেবা হারাতে হতে পারে।
২) বন ও বন্যপ্রাণীর সংরক্ষণ:
- অবন্য অঞ্চল প্রাকৃতিক বন এবং বন্যপ্রাণীর আবাস হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। এদের সংরক্ষণ না করলে বন অনেকটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং বন্যপ্রাণীর প্রজননে বিপর্যস্ততা হতে পারে।
৩) পরিবেশের সংরক্ষণ:
- অবন্য অঞ্চল প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রতিষ্ঠান হিসেবে গভীরভাবে গুরুত্ব সম্পন্ন। এই অঞ্চলে প্রশাসনিক, বাণিজ্যিক এবং পরিবেশ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সমন্বয় করে প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
৪) জলসম্পদ সংরক্ষণ:
- অনেক অবন্য অঞ্চল নদী, ঝর্ণা, হ্রদ ইত্যাদির অন্যত্র সংরক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ। এই জলসম্পদ না হলে স্থানীয় জীবন প্রণালী এবং পরিবেশ ধ্বংস হতে পারে।
৫) প্রাকৃতিক আবাসের সংরক্ষণ:
- অনেক অবন্য অঞ্চলে আদিবাসী সম্প্রদায়ের অন্যত্র গুরুত্ব দেওয়া হয়। তাদের ঐতিহাসিক সংস্কৃতি, জীবনযাত্রা, ও সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও উন্নতি গুরুত্বপূর্ণ।
সংক্ষেপে, অবন্য অঞ্চলের সংরক্ষণ প্রয়োজনীয়তা প্রাকৃতিক সম্পদ, পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের সুরক্ষার দৃষ্টিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ধন্যবাদ....