logo CBCE Skill INDIA

Welcome to CBCE Skill INDIA. An ISO 9001:2015 Certified Autonomous Body | Best Quality Computer and Skills Training Provider Organization. Established Under Indian Trust Act 1882, Govt. of India. Identity No. - IV-190200628, and registered under NITI Aayog Govt. of India. Identity No. - WB/2023/0344555. Also registered under Ministry of Micro, Small & Medium Enterprises - MSME (Govt. of India). Registration Number - UDYAM-WB-06-0031863

দাসপ্রথার সময় বাঙালি সমাজের বিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রণালী কী ছিল?


দাসপ্রথার সময় বাঙালি সমাজের বিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রণালী

দাসপ্রথার সময়ে বাঙালি সমাজে বিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রণালী বিভিন্ন পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে। ব্রিটিশ শাসনের প্রভাব, সমাজ সংস্কারকদের প্রচেষ্টা, এবং শিক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করার মাধ্যমে শিক্ষার প্রণালীতে কিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যায়। প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:

১. প্রথাগত পাঠশালা ও টোল

  • পাঠশালা: গ্রামীণ এলাকায় প্রচলিত প্রথাগত বিদ্যালয়গুলোকে পাঠশালা বলা হতো, যেখানে প্রধানত মৌলিক শিক্ষা প্রদান করা হতো। সাধারণত গ্রামের গৃহে বা খোলা জায়গায় পাঠশালা বসত।
  • টোল: উচ্চশিক্ষার জন্য টোলগুলো ছিল, যেখানে প্রধানত সংস্কৃত ভাষা এবং ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া হতো। ব্রাহ্মণ ও পণ্ডিতরা এখানে শিক্ষা দিতেন।

২. মাদ্রাসা

  • মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য মাদ্রাসা ছিল শিক্ষার কেন্দ্র। এখানে প্রধানত ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া হতো, তবে মৌলিক শিক্ষাও প্রদান করা হতো।

৩. ব্রিটিশ শিক্ষাব্যবস্থা

  • ব্রিটিশরা প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তে নতুন ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা প্রচলন করেন, যা ইংরেজি ভাষায় শিক্ষা প্রদান করত। এর মাধ্যমে প্রশাসনিক কাজের জন্য দক্ষ কর্মচারী তৈরি করা হতো।
  • ১৮১৭ সালে কলকাতা হিন্দু কলেজ (বর্তমান প্রেসিডেন্সি কলেজ) প্রতিষ্ঠিত হয়, যা পশ্চিমা শিক্ষার অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হয়ে ওঠে।

৪. নারী শিক্ষা

  • বিদ্যাসাগর, রামমোহন রায় প্রমুখ সমাজ সংস্কারকরা নারী শিক্ষার প্রচারে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। ১৮৪৯ সালে কলকাতায় প্রথম নারী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
  • নারী শিক্ষার প্রসার ঘটিয়ে সমাজের অগ্রগতি এবং নারীদের ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা হয়।

৫. সমাজ সংস্কার

  • সমাজ সংস্কারকরা শিক্ষা প্রচারে বিশেষ গুরুত্ব দেন। তাদের প্রচেষ্টায় বিভিন্ন বিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়।
  • এ সময়ে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, বিধবা বিবাহ প্রচলন, এবং সতীদাহ প্রথা বিলুপ্তির জন্য শিক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করা হয়।

৬. ধর্মীয় ও আঞ্চলিক বিদ্যালয়

  • বিভিন্ন মিশনারি বিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠান ধর্মীয় শিক্ষা ও মৌলিক শিক্ষা প্রদান করত।
  • এ সময়ে আঞ্চলিক ভাষায় শিক্ষাদানের প্রচেষ্টা দেখা যায়, যা সাধারণ জনগণের মধ্যে শিক্ষার প্রসার ঘটাতে সাহায্য করে।

৭. পাঠ্যক্রম ও শিক্ষাবিষয়ক উদ্যোগ

  • ব্রিটিশ শাসনের অধীনে নতুন পাঠ্যক্রম এবং শিক্ষাবিষয়ক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এতে গণিত, বিজ্ঞান, এবং সাহিত্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হতো।
  • শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পরীক্ষার ব্যবস্থা চালু করা হয়।

দাসপ্রথার সময়ে বাঙালি সমাজের বিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রণালীতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ও উন্নতি ঘটে। ব্রিটিশ শিক্ষাব্যবস্থা এবং সমাজ সংস্কারকদের প্রচেষ্টার ফলে শিক্ষার প্রসার ঘটে এবং নতুন ধারার শিক্ষার প্রচলন হয়।

 

-ধন্যবযদ


Give us your feedback!

Your email address will not be published. Required fields are marked *
0 Comments Write Comment