মেসোপটেমিয়া সভ্যতার গুরুত্ব
মেসোপটেমিয়া সভ্যতা প্রাচীন বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সভ্যতা হিসেবে বিবেচিত হয়। এর গুরুত্বের প্রধান কারণগুলি হলো:
প্রথম শহর ও রাষ্ট্রের উদ্ভব: মেসোপটেমিয়ায় বিশ্বের প্রথম শহর ও রাষ্ট্রের উদ্ভব ঘটে। উরুক, উর, এবং বাবিলের মতো শহরগুলো এখানে গড়ে উঠেছিল।
লিখন পদ্ধতির উদ্ভাবন: মেসোপটেমিয়ায় কিউনিফর্ম (Cuneiform) নামে প্রথম লিখন পদ্ধতি উদ্ভাবিত হয়। এটি প্রশাসনিক কাজ, আইন, সাহিত্য এবং বিজ্ঞানের জন্য ব্যবহৃত হতো।
আইন ও শাসনব্যবস্থা: হামুরাবির আইনকোষ (Code of Hammurabi) বিশ্বের প্রথম লিখিত আইনের সংকলন হিসেবে পরিচিত। এটি আইন ও শাসনব্যবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কৃষি ও সেচ ব্যবস্থা: মেসোপটেমিয়ার বাসিন্দারা সেচ ব্যবস্থার মাধ্যমে কৃষির উন্নয়ন ঘটিয়েছিল। তারা নদীর পানি ব্যবহার করে ফসল উৎপাদন করতো, যা তাদের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
বিজ্ঞান ও গণিত: মেসোপটেমিয়ায় জ্যোতির্বিজ্ঞান, গণিত, এবং চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নতি ঘটে। তারা ৬০ ভিত্তিক গণনাপদ্ধতি উদ্ভাবন করে, যা আধুনিক সময়ের ঘড়ি ও কোণ পরিমাপের ভিত্তি।
ধর্ম ও সংস্কৃতি: মেসোপটেমিয়ায় অনেক দেব-দেবীর পূজা করা হতো এবং বিভিন্ন মন্দির তৈরি হয়েছিল। তাদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পরবর্তী সভ্যতাগুলোর ওপর গভীর প্রভাব ফেলে।
বাণিজ্য ও যোগাযোগ: মেসোপটেমিয়ার বাসিন্দারা অন্য সভ্যতার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিল। তারা নদী ও স্থলপথ ব্যবহার করে দূরবর্তী স্থানের সঙ্গে বাণিজ্য করতো।
এই সব কারণেই মেসোপটেমিয়া সভ্যতা প্রাচীন বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী সভ্যতা হিসেবে বিবেচিত।
-ধন্যবাদ