logo CBCE Skill INDIA

Welcome to CBCE Skill INDIA. An ISO 9001:2015 Certified Autonomous Body | Best Quality Computer and Skills Training Provider Organization. Established Under Indian Trust Act 1882, Govt. of India. Identity No. - IV-190200628, and registered under NITI Aayog Govt. of India. Identity No. - WB/2023/0344555. Also registered under Ministry of Micro, Small & Medium Enterprises - MSME (Govt. of India). Registration Number - UDYAM-WB-06-0031863

আদিম কালের মানবসমাজের শিকার ও সংগ্রহকারী হিসেবে কী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছিল?


আদিম কালের মানবসমাজের শিকার ও সংগ্রহকারী  হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

আদিম কালের মানবসমাজের শিকার ও সংগ্রহকারী হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল, কারণ এটি ছিল তাদের প্রধান জীবিকা নির্বাহের উপায়। শিকার ও সংগ্রহকারীরা মানবসমাজের বিভিন্ন দিক থেকে মৌলিক অবদান রেখেছিল, যা তাদের দৈনন্দিন জীবন, সামাজিক গঠন, এবং সংস্কৃতির বিকাশে সহায়ক ছিল। এখানে শিকার ও সংগ্রহকারীদের ভূমিকা সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হলো:

১. খাদ্য সরবরাহ

শিকার এবং সংগ্রহকারী সমাজে খাদ্য সংগ্রহের প্রধান মাধ্যম ছিল। শিকারিরা বন্য পশু শিকার করত এবং সংগ্রাহকরা ফল, মূল, শাকসবজি, বাদাম, এবং অন্যান্য খাদ্য উপাদান সংগ্রহ করত। এই খাদ্য সংগ্রহের পদ্ধতি মানবসমাজকে টিকে থাকতে সহায়তা করত।

২. সামাজিক গঠন ও সহযোগিতা

শিকার এবং সংগ্রহকারীরা সাধারণত ছোট ছোট গোষ্ঠীতে বসবাস করত। এই গোষ্ঠীগুলো সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করত, যা তাদের সামাজিক বন্ধনকে মজবুত করত। শিকার করতে গেলে দলগত প্রচেষ্টা প্রয়োজন হতো, যা সামাজিক সম্পর্ক এবং বিশ্বাস গড়ে তুলতে সহায়ক ছিল।

৩. জীবনযাত্রার নমনীয়তা

শিকার এবং সংগ্রাহকদের জীবনযাত্রা ছিল অত্যন্ত নমনীয়। তারা খাদ্যের অনুসন্ধানে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হতে পারত। এর ফলে তারা বিভিন্ন পরিবেশে টিকে থাকতে এবং সম্পদ ব্যবহার করতে সক্ষম হতো।

৪. প্রাথমিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা

শিকার এবং সংগ্রাহক অর্থনৈতিক কার্যক্রমের প্রথম ধাপ হিসেবে বিবেচিত হয়। তারা প্রাকৃতিক সম্পদের উপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করত, যা পরবর্তী সময়ে কৃষি এবং পালের পশু পালন দ্বারা পরিবর্তিত হয়েছিল।

৫. প্রাকৃতিক জ্ঞান ও পরিবেশের সাথে সম্পর্ক

শিকার এবং সংগ্রাহকদের প্রাকৃতিক পরিবেশ সম্পর্কে গভীর জ্ঞান ছিল। তারা পশুদের আচরণ, ঋতুর পরিবর্তন, উদ্ভিদের বৃদ্ধি ইত্যাদি সম্পর্কে অবহিত ছিল। এই জ্ঞান তাদের খাদ্য সংগ্রহ এবং টিকে থাকার জন্য অপরিহার্য ছিল।

৬. প্রাথমিক প্রযুক্তির উদ্ভাবন

শিকার এবং সংগ্রাহক সমাজে প্রাথমিক প্রযুক্তির উদ্ভাবন হয়েছিল। তারা পাথর, কাঠ, এবং হাড় দিয়ে হাতিয়ার এবং অস্ত্র তৈরি করত। এই প্রযুক্তি শিকার এবং খাদ্য প্রস্তুতিতে সহায়ক ছিল।

৭. ধর্ম ও সংস্কৃতির বিকাশ

শিকার এবং সংগ্রাহকদের জীবনধারা তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস এবং সংস্কৃতির উপর প্রভাব ফেলেছিল। শিকারের জন্য দেবতা পূজা, প্রকৃতির উপাসনা, এবং শিকারসংক্রান্ত আচার-অনুষ্ঠান প্রায়ই দেখা যেত। এছাড়া, গুহাচিত্র এবং অন্যান্য শিল্পকর্মে শিকার এবং সংগ্রাহক জীবনের প্রতিফলন দেখা যায়।

৮. জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণ

শিকার এবং সংগ্রাহকদের স্থায়িত্বহীন জীবনধারা জনসংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলেছিল। তারা নতুন নতুন স্থান আবিষ্কার এবং বসবাসের জন্য অগ্রসর হতে পারত, যা মানব সম্প্রসারণে সহায়ক ছিল।

৯. স্বাস্থ্য ও পুষ্টি

শিকার এবং সংগ্রাহকদের খাদ্যাভ্যাস প্রাকৃতিক এবং সুষম ছিল। তারা বিভিন্ন ধরনের খাদ্য গ্রহণ করত, যা তাদের শারীরিক স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি বজায় রাখতে সহায়ক ছিল।

১০. সংঘর্ষ ও নিরাপত্তা

শিকার এবং সংগ্রাহক সমাজে শিকার করা এবং খাদ্য সংগ্রহের জন্য গোষ্ঠীগুলির মধ্যে সংঘর্ষ ঘটতে পারত। তবে, এ ধরনের সংঘর্ষ তাদের প্রতিরক্ষা কৌশল এবং অস্ত্র ব্যবহারের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ছিল।

সারসংক্ষেপে, শিকার এবং সংগ্রাহক সমাজ মানব ইতিহাসের প্রাথমিক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। তাদের জীবনধারা, প্রযুক্তি, সামাজিক গঠন, এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে সম্পর্ক আধুনিক মানবসমাজের ভিত্তি গড়ে তুলতে সহায়ক ছিল।

 

-ধন্যবাদ

Popular Post:

Give us your feedback!

Your email address will not be published. Required fields are marked *
0 Comments Write Comment