logo CBCE Skill INDIA

Welcome to CBCE Skill INDIA. An ISO 9001:2015 Certified Autonomous Body | Best Quality Computer and Skills Training Provider Organization. Established Under Indian Trust Act 1882, Govt. of India. Identity No. - IV-190200628, and registered under NITI Aayog Govt. of India. Identity No. - WB/2023/0344555. Also registered under Ministry of Micro, Small & Medium Enterprises - MSME (Govt. of India). Registration Number - UDYAM-WB-06-0031863

কীবোর্ড কি? কীবোর্ড কত প্রকার ও কি কি? (About keyboard)


কীবোর্ড কি ? (What Is Keyboard )

      যদি সোজা এবং সরল ভাবে বলা হয়, তাহলে কীবোর্ড হলো একটি ইনপুট ডিভাইস (peripheral input device) যেটার মাধ্যমে একটি কম্পিউটার বা অন্যান্য ডিভাইস গুলোতে ডাটা (Text or Number) গুলো প্রবেশ করানোর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।একটি কীবোর্ড এর মধ্যে বিভিন্ন আলাদা আলাদা keys এবং buttons থেকে থাকে যেগুলো মূলত electronic switches হিসেবে কাজ করে থাকে।

কেননা, এই electronic switches গুলোতে যখন নিজের হাতের আঙুলের সাথে প্রেস (press) করা হয়, তখন যেই বাটন গুলোতে আপনি প্রেস করবেন সেটার সাথে জড়িত ডাটা গুলো কম্পিউটার গ্রহণ করে থাকে।

তাই সরাসরি বললে এভাবেও বলা যেতে পারে যে,

      একটি কীবোর্ড (keyboard) হলো peripheral device যেটার মাধ্যমে একজন ইউসার যেকোনো কম্পিউটার বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতির (electronic machinery) মধ্যে text, numbers বা data গুলোকে প্রেরণ বা ইনপুট (input) করে থাকেন।

চলুন, এখন আমরা নিচে দেখেনেই, একটি keyboard এর মধ্যে মোট কয়টি বাটন (keys) থেকে থাকে এবং প্রত্যেক বাটন গুলোর নাম, প্রকার এবং ব্যবহার নিয়ে নিচে অধিক জেনে নেই।

একটি সামান্য কীবোর্ড এর মধ্যে মূলত 104 Keys থেকে থাকে। তবে, keys / button এর সংখ্যা Keyboard Manufactures এবং Operating System এর ওপরেও অনেকটুকু নির্ভর করে থাকে।

তাই, আমরা বলতে পারি যে একটি QWERTY keyboard এর মধ্যে মোটামোটি 100 Keys (±) থাকে।

Keyboard এর মধ্যে থাকা প্রত্যেক keys গুলোর কিছু বিশেষ কাজ থাকে আর এই কাজ গুলোর ওপরে নির্ভর করেই এগুলোকে নিম্ন শ্রেণীভুক্ত করা হয়েছে।

কীবোর্ড এর বিভিন্ন Keys সম্পর্কে নীচে বর্ণনা করা হলো – 

  • Function Keys
  • Typing Keys
  • Control Keys
  • Navigation Keys
  • Indicator Lights
  • Numeric Keypad

চলুন, প্রত্যেক শ্রেণীর বাটন সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেই।

1. Function Keys

  • একটি কীবোর্ড এর মধ্যে সব থেকে ওপরের দিকে দেখা যায় এই Function Keys গুলোকে।
  • এই Button / Keys গুলোকে Keyboard এর মধ্যে F1 থেকে F12 মধ্যে লিখা থাকে।
  • কোনো বিশেষ ধরণের কাজ করার ক্ষেত্রে এই Function Keys  ব্যবহার করা হয়।
  • প্রত্যেক আলাদা আলাদা program গুলোর ক্ষেত্রে এই Function Keys গুলোর আলাদা আলাদা কাজ থেকে থাকে।

2. Typing Keys 

  • একটি কীবোর্ড এর মধ্যে সব থেকে অধিক পরিমানে ব্যবহার হয়ে থাকে এই Typing Keys গুলোর।
  • যদি এই টাইপিং বাটন / কি গুলোর কথা বলা হয়, তাহলে এখানে Alphabet এবং Numbers দুধরণের Keys গুলোই ব্যবহার করা হয়ে থাকে।আর একসাথে এই দুধরণের Keys গুলোকে Alphanumeric Keys বলে বলা হয়।
  • এছাড়া, Typing Keys গুলোর মধ্যে Symbols এবং Punctuation Marks Keys গুলোও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
  • যখন নতুন করে কোনো ব্যক্তি কম্পিউটার টাইপিং শিখে থাকেন, তখন তাকেও মূলত এই Alphanumeric Keys গুলোর প্রশিক্ষণ (Training) দেওয়া হয়।

3. Control Keys

  • একটি সামান্য কীবোর্ড এর মধ্যে Ctrl key, Alt key, Window key, Esc key এর ব্যবহার Control keys হিসেবে করা হয়। এছাড়া, Menu key, Scroll key, Pause Break key, PrtScr key ইত্যাদি keys গুলোকেও Control keys এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
  • কিছু বিশেষ ধরণের অপারেশন করার ক্ষেত্রে এই ধরণের Control keys গুলোকে ব্যবহার করা হয়।

4. Navigation Keys

  • Navigation keys এর মধ্যে Arrow keys, Home, End, Insert, Page Up, Delete, Page Down ইত্যাদি Keys গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এগুলোর ব্যবহার বিভিন্ন Document, Webpage বা Program গুলোতে এদিক সেদিক যাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়।

5. Indicator Lights 

  • কীবোর্ড এর মধ্যে ৩ রকমের Indicator Lights থাকতে পারে। সেগুলো হলো, Number Lock, Scroll Lock এবং Caps Lock.
  • যখন কীবোর্ড এর মধ্যে থাকা প্রথম Light টি জ্বলতে থাকবে তখন এটার মানে হলো Numeric Keypad চালু (Active) রয়েছে। সেভাবেই, এই Light বন্ধ থাকা মানে, Numeric Keypad বন্ধ হয়ে আছে।
  • দ্বিতীয় লাইট, Letters এর Uppercase এবং Lowercase এর সাথে জড়িত থাকছে।
  • যখন এই লাইট বন্ধ হয়ে রয়েছে, এর মানে হলো Letter গুলো Lowercase এর সাথে Active হয়ে রয়েছে। এবং যখন লাইট জ্বলতে থাকবে এর মানে হবে Letter গুলো Uppercase এর সাথে একটিভ হয়ে রয়েছে।
  • তৃতীয় Light টি Scroll Lock এর নামের সাথে জানা যায়। এর দ্বারা Scroll Lock এর বিষয়ে সংকেত পাওয়া যায়।

6. Numeric Keypad

  • এই ধরণের keys গুলোকে Calculator keys বলা যেতে পারে। কারণ, একটি Numeric Keypad এর মধ্যে প্রায় একটি Calculator এর সমান Keys গুলো থেকে থাকে। এই ধরণের Keys গুলোর ব্যবহার Number লিখার জন্য করা হয়।

কীবোর্ড কত প্রকার ও কি কি – (Types of keyboard)

  • আমরা ওপরেই জানলাম যে, keyboard এর layout এর ওপরে নজর দিলে কীবোর্ড মূলত ৩ টি প্রকার (QWERTYAZERTYDVORAK) আমরা পেয়ে থাকি। তবে, এই ৩ প্রকারের কীবোর্ড গুলোতেও বিভিন্ন পরিবর্তন সময়ে সময়ে করা হয়েছে।
  • আর এভাবেই, বিভিন্ন আলাদা আলাদা রকমের কীবোর্ড নির্মাণ হয়ে চলেছে। কিছু মুখ্য কীবোর্ড গুলোর প্রকার নিচে উল্লেখ করা হয়েছে।
  • Flexible Keyboard
  • Mechanical Keyboard
  • Membrane Keyboard
  • Ergonomic Keyboard
  • Gaming Keyboard
  • Wireless Keyboard
  • Multimedia Keyboard
  • Handheld Keyboard
  • Vertical Keyboard
  • Virtual Keyboard
  • Projection Keyboard

চলুন নিচে প্রত্যেকটি কীবোর্ড গুলোর বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জেনেনেই।

1. Flexible Keyboard

  • এই ধরণের কীবোর্ড গুলোর আকার প্রচুর নমনীয় (Flexible) হয়ে থাকে। কারণ, সিলিকন এর মতো অনেক নরম পদার্থ দিয়ে এই কীবোর্ড গুলোকে তৈরি করা হয়।
  • এই ধরণের কীবোর্ড গুলোকে আমরা সহজে ছোট আকারে ভাঁজ করে নিতে পারি।
  • Flexible Keyboard গুলো সাংঘাতিক Portable, তাই নিজের পকেটে বা ব্যাগে ভরিয়ে যেকোনো জায়গাতে এদের নিয়ে যেতে পারবেন।
  • ছোট কম্পিউটার ইউজার এবং ট্যাবলেট ইউজার দ্বারা এই ধরণের কীবোর্ড গুলোর ব্যবহার প্রচুর করা হয়।

2. Mechanical Keyboard

  • Mechanical keyboard গুলো হলো এমন কিছু Computer Keyboard যেগুলোর ক্ষেত্রে, প্রতিটি কীর নিচে রয়েছে একটি করে সুইচ।
  • এমনিতে, একটি সাধারণ Keyboard এর ক্ষেত্রে এই সুইচ এর জায়গাতে রাবার ঝিল্লি (Rubber Membranes) গুলো ব্যবহার করা হয়।
  • এই ধরণের Keyboard গুলোকে Spring Key Switch এর সাথে তৈরি করা হয়। বর্তমান সময়ে এই ধরণের Keyboard গুলোর চাহিদা কিন্তু প্রচুর।
  • তবে, এই কীবোর্ড গুলোর ক্ষেত্রে একটি বিশেষ সমস্যা রয়েছে, টাইপিং করার সময় কীবোর্ড থেকে প্রচুর শব্দ বের হয়ে থাকে।

3. Membrane Keyboard

  • একটি ঝিল্লি (Membrane) কীবোর্ড হলো এমন একটি কীবোর্ড যেখানে “Keys” গুলো আলাদা আলাদা ভাবে পৃথক হয়ে থাকেনা।
  • দেখতে গেলে এই কীবোর্ড গুলো একটি Mechanical Keyboard এর সম্পূর্ণ আলাদা।
  • এই ধরণের Keyboard গুলো মূলত একটি Pressure Pads যেখানে একটি Flat এবং Flexible Surface এর মধ্যে Outlines এবং Symbols গুলো Print করা থাকে।

4. Ergonomic Keyboard

  • প্রায় অনেক ব্যক্তিরা যারা নিয়মিত কম্পিউটারে টাইপিং এর সাথে জড়িত কাজ গুলো করে থাকেন, দেখা গেছে যে তারা ক্রমাগত চাপের কারণে হাতের কব্জির সমস্যায় ভুক্তভুগি হয়ে থাকেন।
  • আর তাই, এই ধরণের কীবোর্ড গুলোকে মূলত এই ধরণের সমস্যা গুলোকে নজর রেখে বানানো হয়েছে যাতে ব্যবহারকারীরা প্রচুর সুবিধার সাথে কাজ করতে পারেন।

5. Gaming Keyboard

  • একটি গেমিং কীবোর্ড তুলনামূলক ভাবে আকারে অনেক ছোট থাকে যেটাকে মূলত গেম খেলার জন্যই তৈরি করা হয়েছে।
  • আজ অনেক বড় সংখ্যায় লোকেরা কেবল গেমিং এর জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করছেন। আর তাই, এই ধরণের ইউজার দের জন্য কেবল গেমিং প্রয়োজনীয়তা গুলোর ওপরে নজর দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে গেমিং কীবোর্ড গুলো।
  • একটি Standard Keyboard এর তুলনায় এই Keyboard গুলোতে কম সংখ্যায় Keys থেকে থাকে।

6. Wireless Keyboard

  • আজকাল প্রায় প্রত্যেকটি জায়গাতেই wireless devices গুলোকে ব্যবহার করা হচ্ছে, আর এখন তো কম্পিউটার মাউস এবং কীবোর্ড গুলোকেও ওয়্যারলেস হিসেবে তৈরি করা হচ্ছে।
  • একটি wireless keyboard হলো এমন এক ধরণের কীবোর্ড যেটা ইউসারকে computers, tablets বা laptops এর সাথে radio frequencyর সাহায্যে যোগাযোগ করতে হাহায্য করে থাকে।
  • যেমন, WiFi, Bluetooth বা infrared technology ব্যবহার করে।

7.  Multimedia Keyboard

  • একটি multimedia keyboard এর মধ্যে প্রচুর media keys আপনারা পেয়ে যাবেন।
  • যেমন, e-mail client এবং Web browser সরাসরি চালু করার জন্য shortcut button, audio playback নিয়ন্ত্রণ করার button ইত্যাদি।

    মূলত এভাবে বুঝে নিতে পারবেন যে, একটি multimedia keyboard এর মধ্যে আলাদা ভাবে কিছু media-control related keys দেওয়া থাকবে।

8.  Handheld Keyboard

  • Handheld কীবোর্ড গুলো পেশাদার গেমার দের দ্বারা ব্যবহার করা হয়েছিল যারা নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী থেকে কিছুটা এগিয়ে থাকতে চাইতেন।
  • যদি আপনি একজন গেমার বা টাইপিং এর কাজের জন্য কেবল একটি হাত ব্যবহার করার সীমাবদ্ধ আপনার রয়েছে, তাহলে এই ধরণের কীবোর্ড আপনার কাজে আসতে পারে।

9. Vertical Keyboard

  • Vertical Keyboard গুলো এক নির্দিষ্ট রকমের কীবোর্ড যেটাকে মূলত ব্যবহারকারীর হাতের চাপ দূর করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
  • এই ধরণের কীবোর্ড গুলো 3D ধারণার ওপরে ভিত্তিক। এই কীবোর্ড গুলো দুটো ভাবে বিভাজিত থাকে।

10.  Virtual Keyboard

  • Virtual Keyboard গুলো মূলত Software-Powered Keyboard হয়ে থাকে। যেভাবে আপনারা একটি Standard Keyboard এর ব্যবহার করে কম্পিউটারের স্ক্রিনে কিছু লিখতে পারবেন, ঠিক সেভাবেই এই ধরণের Virtual Keyboard গুলোকে ব্যবহার করেও লিখতে পারবেন।
  • এই কীবোর্ড গুলো মূলত এক ধরণের সফটওয়্যার যেখানে কোনো Physical Keys থাকছেনা।

11. Projection Keyboard

  • Projection Keyboard গুলো মূলত Virtual কীবোর্ড এর একটি রূপ বা প্রকার যেটাকে প্রায় যেকোনো জায়গাতেই ব্যবহার করতে পারবেন।
  • এই ধরণের Keyboard গুলো যেকোনো ফ্ল্যাট এবং হার্ড পৃষ্ঠতলে (Surface) Keyboard  এর চিত্র প্রদর্শন করার ক্ষেত্রে লেজার এর ব্যবহার করে থাকে।

শেষ কথা,,

  • তাহলে বন্ধুরা, আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা, কীবোর্ড কি” "কীবোর্ড কত প্রকার" ও "কি কি" এবং কীবোর্ড নিয়ে প্রচুর অন্যান্য তথ্য গুলো জানতে পারলাম। 
  • আশা করছি, আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আপনার অবশ্যই কাজে দিবে।
  • আমাদের আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে আর্টিকেলটি অবশ্যই শেয়ার করবেন।
  • এছাড়া, কীবোর্ড এর বিষয়ে যদি অন্যান্য কোনো প্রশ্ন আপনার মনে থেকে থাকে, তাহলে নিচে কমেন্ট করে জানাবেন।

- ধন্যবাদ


Give us your feedback!

Your email address will not be published. Required fields are marked *
0 Comments Write Comment