logo CBCE Skill INDIA

Welcome to CBCE Skill INDIA. An ISO 9001:2015 Certified Autonomous Body | Best Quality Computer and Skills Training Provider Organization. Established Under Indian Trust Act 1882, Govt. of India. Identity No. - IV-190200628, and registered under NITI Aayog Govt. of India. Identity No. - WB/2023/0344555. Also registered under Ministry of Micro, Small & Medium Enterprises - MSME (Govt. of India). Registration Number - UDYAM-WB-06-0031863

মহাসাগরের পরিবেশগত সমস্যা কী কী?


মহাসাগরের পরিবেশগত সমস্যা

মহাসাগরের পরিবেশগত সমস্যা বিশ্বজুড়ে একটি বড় উদ্বেগের বিষয়। এই সমস্যাগুলি মহাসাগরের বাস্তুসংস্থান, প্রাণীজগৎ, এবং মানুষের জীবিকা উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। কিছু প্রধান সমস্যাগুলি হলো:

  1. প্লাস্টিক দূষণ:

    • মহাসাগরে প্রচুর প্লাস্টিক বর্জ্য জমা হচ্ছে, যা সামুদ্রিক জীবজগৎকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে। সামুদ্রিক প্রাণীরা প্লাস্টিক খেয়ে ফেলছে, যা তাদের স্বাস্থ্য ও জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ।

  2. তেল দূষণ:

    • তেলবাহী জাহাজের দুর্ঘটনা ও তেল নিষ্কাশনের ফলে মহাসাগরে তেল ছড়িয়ে পড়ে। এটি সামুদ্রিক জীবজগৎ ও উপকূলীয় বাস্তুসংস্থানের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

  3. অম্লীকরণ (Ocean Acidification):

    • বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় মহাসাগরের পানির পিএইচ স্তর কমে যাচ্ছে, যা সামুদ্রিক জীবের জন্য ক্ষতিকর।

  4. উষ্ণায়ন (Global Warming):

    • গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের ফলে মহাসাগরের তাপমাত্রা বাড়ছে, যা সামুদ্রিক বাস্তুসংস্থান পরিবর্তন করছে এবং কোরাল রীফের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে।

  5. ওভারফিশিং (Overfishing):

    • অত্যধিক মাছ ধরার ফলে অনেক সামুদ্রিক প্রজাতির সংখ্যা কমে যাচ্ছে এবং বাস্তুসংস্থানের ভারসাম্য বিঘ্নিত হচ্ছে।

  6. বর্জ্য ও রাসায়নিক দূষণ:

    • শিল্প এবং কৃষি থেকে আসা বর্জ্য এবং রাসায়নিক পদার্থ মহাসাগরে মিশে দূষণ সৃষ্টি করছে। এগুলি সামুদ্রিক জীবজগৎ এবং মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

  7. ইনভেসিভ প্রজাতি:

    •  ভিনদেশী প্রজাতি মহাসাগরের বাস্তুসংস্থানে প্রবেশ করে স্থানীয় প্রজাতির ওপর প্রভাব ফেলে এবং বাস্তুসংস্থানের ভারসাম্য বিঘ্নিত করে।

  8. উপকূলীয় উন্নয়ন:

    • উপকূলীয় অঞ্চলে মানব উন্নয়ন এবং অবকাঠামো নির্মাণ সামুদ্রিক বাস্তুসংস্থানের ক্ষতি করছে এবং প্রাকৃতিক পরিবেশকে ধ্বংস করছে।

  9. কোরাল রীফের ক্ষতি:

    •  কোরাল রীফের অবস্থা উষ্ণায়ন, দূষণ, এবং ওভারফিশিংয়ের কারণে খারাপ হচ্ছে। কোরাল রীফ সামুদ্রিক জীবনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাসস্থান।

  10. ডেড জোন:

    • পুষ্টিগুণ বৃদ্ধির কারণে (যেমন নাইট্রোজেন এবং ফসফরাস) অ্যালগাল ব্লুম সৃষ্টি হয়, যা পরে অক্সিজেনের অভাব তৈরি করে এবং একটি ডেড জোন তৈরি করে, যেখানে সামুদ্রিক প্রাণীরা বাঁচতে পারে না।

 

এই সমস্যাগুলি মোকাবেলা করার জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, সচেতনতা বৃদ্ধি, এবং কার্যকর নীতিমালা প্রণয়ন করা প্রয়োজন।

 

-ধন্যবাদ

Popular Post:

Give us your feedback!

Your email address will not be published. Required fields are marked *
0 Comments Write Comment