সমাজবিজ্ঞানের মৌলিক গবেষণা পদ্ধতি
সমাজবিজ্ঞানের মৌলিক গবেষণা পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা যাক। সমাজবিজ্ঞান মানুষের সমাজ, সমাজের ব্যবহারিক অবস্থা, সমাজের প্রত্যাশা এবং সামাজিক প্রতিস্থাপনের অন্যান্য দিকের অধ্যয়নে আসে। এটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে একটি বিশেষ অনুসন্ধানের সূচনা করে না, বরং সমাজবিজ্ঞানে ব্যবহৃত বিভিন্ন গবেষণা পদ্ধতিগুলি আছে যা প্রযোজনীয় বিষয়ের উপর নির্ভর করে।
কিছু মৌলিক গবেষণা পদ্ধতি সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হলো:
সমাজতাত্ত্বিক গবেষণা (Sociological Research): এটি সমাজের অধ্যয়নের পদ্ধতি যেখানে প্রাথমিক ডেটা সংগ্রহ করা হয় এবং এটি পরিবর্তনের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়। এটি অধিকাংশই পর্যবেক্ষণ, অনুসন্ধান ও সম্পর্কের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়।
পর্যবেক্ষণ (Observational Research): এটি মানুষের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি যেখানে গবেষক ব্যক্তিগতভাবে সমাজের বিভিন্ন দিক অবলম্বন করে দেখেন।
অনুসন্ধান (Experimental Research): এটি বিশেষ ধরনের বিশেষ শর্তে পরীক্ষা করার পদ্ধতি, যেমন একটি নতুন সামাজিক প্রোগ্রাম বা নীতির প্রভাব নির্ধারণের জন্য পরীক্ষামূলক পরীক্ষা।
গবেষণা সারমর্ম (Survey Research): এটি সমাজের ব্যবহারিক ব্যাপারে মানুষের মতামত বা ধারণা সংগ্রহের পদ্ধতি, যেখানে সাধারণত বিভিন্ন প্রশ্নের একটি সিরিজ ব্যবহার করা হয়।
উপগবেষণা (Qualitative Research): এটি মৌলিকভাবে বিশ্লেষণ করা সমাজ তথ্যের পদ্ধতি, যেখানে মূল ফলাফল বর্ণনা, বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা করা হয়।
পরিসংখ্যান (Quantitative Research): এটি পরিসংখ্যানের পদ্ধতি, যেখানে পরিসংখ্যানিক তথ্য ব্যবহার করে প্রায়শই সাংখ্যিকীয় বিশ্লেষণ করা হয়।
এই গবেষণা পদ্ধতিগুলি সমাজবিজ্ঞানে প্রযোজনীয় তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রত্যেকটি পদ্ধতির প্রয়োগ সম্পর্কে পরিস্থিতি, গবেষণার উদ্দেশ্য এবং উপাত্তের সম্পর্কে বিবেচনা করা হয়।
ধন্যবাদ....