4P

1. PRODUCT
2. PRICE.
3. PLACE.
4. PROMOTION.

• এই চারটিকে সংক্ষেপে 4P বলা হয়। মার্কেটিং-এর 4P নামেও এটি পরিচিত। এর একটি চমৎকার অর্থ রয়েছে। সে কথা মাথায় রাখলে ব্যবসায় অনেক সুবিধা হবে। এক এক করে ব্যাখ্যা করা যাক। তার আগে বলে রাখি যে কোন ব্যবসায় এই চারটি জিনিস ভালোভাবে পালন করা হয়। ব্যবসায় ভালো করতে চাইলে এই মূল বিষয়গুলো ভালো করলেই খুব ভালোভাবে সাফল্য পাওয়া যায়। এই তত্ত্বগুলি বেশ প্রসিদ্ধ ও প্রচলিত।

PRODUCT

• ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রোডাক্ট কিন্তু অবশ্যই লাগবে । না হলে ব্যবসা হবে না । সার্ভিস এর ক্ষেত্রে হয়তো সরাসরি প্রোডাক্ট লাগে না কিন্তু এটাও প্রোডাক্টের মধ্যে পড়ে । সহজ কথায় যেটা বেচা যায় আর টাকা পাওয়া যায় । তো এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও মূল উপাদান ব্যবসার জন্য । আপনাকে এটার পেছনে সময় দিতে হবে । বুঝতে হবে এটার ভোক্তা কারা হতে পারে । কাদের কাছে বিক্রি করতে চাইলে কেনার কথা ভেবে দেখবে । ভেবে দেখাটাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ । কারণ আপনি যদি স্কেটবোর্ড বেচতে চান এবং চিন্তা করেন এটা কিনবে বয়স্ক ব্যক্তিবর্গ তাহলে কিন্তু কাজ হবে না । বয়স্ক ব্যক্তিরা বুড়ো বয়সে ভীমরতি না হলে স্কেট -বোর্ড নিয়ে সহজে রাস্তায় নামবে না । কারণ কে চায় এই বয়সে পা ভাঙতে? এই কারণেই এটা গুরুত্বপূর্ণ। প্রোডাক্ট বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে। আপনি যদি এনার্জি ড্রিংকস বিক্রি করতে চান এবং বলেন যে এটি পান করে আপনি সত্যিই এক লাফে চাঁদের দেশে পৌঁছে যেতে পারবেন, তবে এটি বিশ্বাসযোগ্য হবে না এবং কেউ এটি কিনবে না। বাজারে এটার চাহিদা আছে নাকি সেটাও রিসার্চ করে দেখতে হবে । যতরকম সমস্যা থাকতে পারে ওই প্রোডাক্ট নিয়ে ভেবেচিন্তে এরপর সলিউশনটা করতে হবে ।

PRICE

• PRICE নিয়ে কথা বলার আগে ভেবে দেখুন, এমনটা হয়েছে কি না, আপনি বেড়াতে গেলেন, কিন্তু যখন কিছু কিনতে গেলেন, দেখবেন বিশাল দাম। দাম দেখে হয়তো জিনিসটা কিনেননি। কিন্তু এটা প্রায়ই ঘটে। কথা হচ্ছে আপনি একটা প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বানালেন। কিন্তু দাম রাখলেন আকাশচুম্বী। তাহলে কেউ কিনবে না। প্রোডাক্ট যেমন হবে তুলনামূলক বাজারের চাহিদা, কম্পিটিশন, উৎপাদন খরচ, প্রোমোশন খরচ ইত্যাদি বিচার বিশ্লেষণ করে দাম নির্ধারণ করতে হবে। তবে অনেক কমও যদি রাখেন তাহলে আবার ব্যবসা বড় করা কঠিন হয়ে যাবে। তখন দিন আনি দিন খাই অবস্থা হয়ে যাবে। ব্যবসা বৃদ্ধি করতে কষ্ট হয়ে যাবে। সবচেয়ে ভাল হয় প্রতিদ্বন্দীরা কত দাম রাখছে সেটা ফলো করা। হয় তাদের থেকে কিছু কম রাখা বা সেম দামে বেশি ভ্যালু দেওয়া, বেস্ট অপশন। যাইহোক সঠিক দাম রাখতে পেরেছেন তো ব্যবসায় ভাল করেছেন। কেউ আশা করি অস্বীকার করবেন না তাহলে পরের পার্টে যাই।

PLACE

• এটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ পার্ট। PLACE বলতে স্থানকেই বোঝানো হয়েছে। আপনার প্রোডাক্টটা কোথায় লঞ্চ করবেন সেটার গুরুত্ব অনেক। ধরুন আপনি ঠিক করলেন অনলাইনে সুপার মার্কেটের আইটেম বিক্রি করবেন। এখন অফিস বা পিক আপ পয়েন্ট বানালেন এমন একটা জায়গায় যেখানে মোবাইলের নেটওয়ার্কই পাওয়া যায় না। তাহলে কি হবে? যেখানে মানুষ ইন্টারনেটই ঠিকমত ব্যবহার করতে পারে না সেখানে অনলাইনে কিভাবে প্রোডাক্ট অর্ডার করবে? তো সেই জায়গাটা কিন্তু সঠিক স্থান না। অথবা আপনার ভোক্তাশ্রেণি বেশিরভাগ কোথায় থাকে? সেটাই হতে পারে আপনার প্রোডাক্ট লঞ্চ করার বেস্ট স্থান। এভাবে সঠিন প্লেস বা স্থান নির্ধারণ করতে হবে অবশ্যই।
• আরেকটি উদাহরণ, আপনি ফোন বা গ্যাজেট আমদানি করে বিক্রি করবেন ঠিক করলেন। এখন সেগুলো কি মুদি দোকানে বিক্রি করা যাবে আলু-পেয়াজের সাথে? অবশ্যই না। এগুলো খুবই হাস্যকর বা বেসিক শোনালেও কমন প্রোডাক্টের বেলায় এরকম হয়। কিন্তু আপনি যখন ইনোভেটিভ চিন্তা করবেন ও নতুন কিছু আনার চেষ্টা করবেন তখন দেখবেন এটা বেশ ভাবনা-চিন্তার ব্যপার হয়ে দাঁড়াবে। একারণে এটা নিয়ে রিসার্চ করতে হবে।

PROMOTION

• সবকিছু ঠিক আছে একেবারে শীর্ষ খাঁজ. খুব ভালো কিন্তু ভাই প্রচার না করলে বার্ষিক আয় কত হবে জানেন? প্রায় শূন্য কিছু না বলাই ভালো। আপনি অর্থ উপার্জনের জন্য ব্যবসা করছেন। যখন অর্থ উপার্জন করতে হয়, তখন তা ভালভাবে উপার্জন করা উচিত। আপনার ব্যবসার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলির মধ্যে একটি হল প্রচার বা বিপণন বা বিজ্ঞাপন। ব্যবসায় সফল হতে, বেঁচে থাকার জন্য আপনাকে অবশ্যই এটি করতে হবে। যত বেশি সৃজনশীল কোম্পানি, তারা তাদের পণ্য বাজারজাতকরণে তত বেশি সফল। হ্যাঁ, এটাই স্বাভাবিক। আপনি বিস্কুট কিনতে দোকানে যান। যে কোম্পানির বিস্কুটের বিজ্ঞাপন আপনি অনেক দেখেছেন বা যার কথা আপনার মনে গেঁথে আছে সেই কোম্পানির বিস্কুট আপনি কিনে ট্রাই করতে চাইবেন। এটাই স্বাভাবিক। যে মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো ভালো মার্কেটিং করতে পারে তাদের কাছে বেশি ফোন রয়েছে। একটা কথা আছে যে ভালো মার্কেটিং দিয়ে খারাপ জিনিস ভালো করা যায়, যদিও আমি এটা 100% সাপোর্ট করি না।