logo CBCE Skill INDIA

Welcome to CBCE Skill INDIA. An ISO 9001:2015 Certified Autonomous Body | Best Quality Computer and Skills Training Provider Organization. Established Under Indian Trust Act 1882, Govt. of India. Identity No. - IV-190200628, and registered under NITI Aayog Govt. of India. Identity No. - WB/2023/0344555. Also registered under Ministry of Micro, Small & Medium Enterprises - MSME (Govt. of India). Registration Number - UDYAM-WB-06-0031863

কোন দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা সবচেয়ে কার্যকর?


বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরনের নির্বাচনী ব্যবস্থা রয়েছে, এবং কার্যকারিতার দিক থেকে এগুলোর মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে। তবে, কিছু দেশ তাদের নির্বাচনী ব্যবস্থার সুষ্ঠুতা, স্বচ্ছতা, এবং অংশগ্রহণের সুযোগের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। কিছু উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হল:

1. নরওয়ে

  • নির্বাচনী ব্যবস্থা: নরওয়ে একটি সংসদীয় গণতন্ত্র, যেখানে সংসদ সদস্যরা অনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির মাধ্যমে নির্বাচিত হন।
  • স্বচ্ছতা: নরওয়ের নির্বাচন প্রক্রিয়া অত্যন্ত স্বচ্ছ এবং সুসংগঠিত। এখানে নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করে।
  • উচ্চ ভোটার অংশগ্রহণ: নরওয়ের নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণের হার অত্যন্ত উচ্চ, যা ৭৫% এর ওপরে থাকে।

2. সুইজারল্যান্ড

  • নির্বাচনী ব্যবস্থা: সুইজারল্যান্ডে সরাসরি গণতন্ত্রের ব্যবস্থা রয়েছে, যেখানে জনগণ সরাসরি বিভিন্ন আইন এবং নীতি সম্পর্কে ভোট দেয়।
  • প্রতিনিধিত্ব: দেশটি একটি ফেডারেল ব্যবস্থা, যেখানে প্রতিটি ক্যান্টন (প্রদেশ) প্রতিনিধিত্ব পায়।
  • জনগণের মতামত: সুইজারল্যান্ডে নিয়মিতভাবে গণভোট (রেফারেন্ডাম) অনুষ্ঠিত হয়, যা জনগণের মতামতকে সরাসরি নীতিতে প্রয়োগ করার সুযোগ দেয়।

3. নিউজিল্যান্ড

  • নির্বাচনী ব্যবস্থা: নিউজিল্যান্ডে মিশ্র সদস্য অনুপাতিক (Mixed-Member Proportional, MMP) নির্বাচন ব্যবস্থা প্রচলিত। এই ব্যবস্থায় দুটি ভোট দেওয়া হয়: একটি নির্বাচনী এলাকার প্রার্থীর জন্য এবং একটি রাজনৈতিক দলের জন্য।
  • প্রতিনিধিত্ব: এই পদ্ধতি নিশ্চিত করে যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব রয়েছে এবং ছোট দলগুলিও প্রতিনিধিত্ব পায়।
  • ভোটার অংশগ্রহণ: নিউজিল্যান্ডের নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও নির্ভরযোগ্য, যা ভোটারদের আস্থা বজায় রাখে।

4. জার্মানি

  • নির্বাচনী ব্যবস্থা: জার্মানির নির্বাচনী ব্যবস্থা মিশ্র সদস্য অনুপাতিক (Mixed-Member Proportional, MMP) পদ্ধতি অনুসরণ করে।
  • প্রতিনিধিত্ব: এটি নিশ্চিত করে যে জনগণের বিভিন্ন গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব সুষ্ঠুভাবে হয়।
  • স্বচ্ছতা এবং সুষ্ঠুতা: নির্বাচন প্রক্রিয়া খুবই স্বচ্ছ এবং নির্ভরযোগ্য।

5. কানাডা

  • নির্বাচনী ব্যবস্থা: কানাডায় সংসদীয় গণতন্ত্র প্রচলিত, যেখানে সদস্যরা প্রথম-পাস-দ্য-পোস্ট (First-Past-The-Post) পদ্ধতিতে নির্বাচিত হন।
  • স্বাধীন নির্বাচন কমিশন: কানাডার নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনা করে।
  • উচ্চ মানের নির্বাচন প্রক্রিয়া: নির্বাচন প্রক্রিয়া অত্যন্ত সুশৃঙ্খল এবং নির্ভরযোগ্য।

উপসংহার

কোন দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা সবচেয়ে কার্যকর তা নির্ভর করে বিভিন্ন মানদণ্ডের উপর, যেমন স্বচ্ছতা, ভোটার অংশগ্রহণ, প্রতিনিধিত্ব, এবং নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা। উপরোক্ত দেশগুলির নির্বাচন ব্যবস্থা সুষ্ঠু ও কার্যকর হিসাবে বিবেচিত হয়, কারণ তারা উচ্চ মানের নির্বাচন পরিচালনা, জনমতের যথাযথ প্রতিফলন এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বজায় রাখতে সক্ষম।

Popular Post:

Give us your feedback!

Your email address will not be published. Required fields are marked *
0 Comments Write Comment