হরপ্পা সভ্যতার শিক্ষা ব্যবস্থা
হরপ্পা সভ্যতার শিক্ষা ব্যবস্থার বিষয়ে প্রত্নতাত্ত্বিক এবং ইতিহাসবিদদের মধ্যে বিভিন্ন ধারণা রয়েছে, তবে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন ও আবিষ্কৃত নিদর্শন থেকে কিছু সাধারণ ধারণা পাওয়া যায়:
লিখনপদ্ধতি:
হরপ্পার স্থাপনাগুলিতে পাওয়া বিভিন্ন সীলমোহর এবং মৃৎপাত্রে খোদিত প্রতীক ও লিপি নির্দেশ করে যে, তাদের একটি উন্নত লিখনপদ্ধতি ছিল। যদিও হরপ্পার লিপি এখনও পুরোপুরি ডিকোড করা যায়নি, তবে এটি প্রমাণ করে যে তারা লেখালেখির একটি বিশেষ পদ্ধতি ব্যবহার করত।
প্রশাসনিক ও বাণিজ্যিক শিক্ষা:
হরপ্পার সমাজে প্রশাসনিক এবং বাণিজ্যিক কাজকর্মের গুরুত্ব ছিল। বিভিন্ন সীলমোহর, ওজন এবং পরিমাপ যন্ত্র থেকে বোঝা যায় যে, তারা ব্যবসায় ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে দক্ষ ছিল। এটি থেকে ধারণা করা যায় যে, হরপ্পা সভ্যতায় প্রশাসনিক ও বাণিজ্যিক শিক্ষার ব্যবস্থা ছিল।
হস্তশিল্প ও প্রযুক্তিগত শিক্ষা:
হরপ্পা সভ্যতার লোকেরা বিভিন্ন হস্তশিল্প, যেমন: মৃৎশিল্প, বয়ন, ধাতুশিল্প ইত্যাদিতে পারদর্শী ছিল। তাদের বিভিন্ন প্রযুক্তিগত দক্ষতা নির্দেশ করে যে, তারা প্রযুক্তিগত শিক্ষায়ও অগ্রসর ছিল।
স্থাপত্য ও পরিকল্পনা:
হরপ্পার শহরগুলি পরিকল্পিত ছিল এবং উন্নত নিকাশী ব্যবস্থা, পানির সরবরাহ এবং রাস্তার নকশা প্রমাণ করে যে, তারা স্থাপত্য ও নগর পরিকল্পনার বিষয়ে জ্ঞানসম্পন্ন ছিল।
ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক শিক্ষা:
বিভিন্ন মন্দির, পূজাস্থল এবং ধর্মীয় প্রতীক নির্দেশ করে যে, হরপ্পার সমাজে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক শিক্ষার গুরুত্ব ছিল। তারা বিভিন্ন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করত এবং ধর্মীয় জ্ঞানার্জন করত।
যদিও হরপ্পা সভ্যতার সুনির্দিষ্ট শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে তাদের বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ থেকে বোঝা যায় যে, তারা একটি শিক্ষিত ও সুসংগঠিত সমাজ ছিল।
-ধন্যবাদ